মণিরামপুরে ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বিএনপিতো হারুন অর রশিদের ব্যাপক গণসংযোগ। নিয়মিত ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের খোজখবর নেয়া বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড অব্যহত রেখে চলেছেন। কালি পূজা উপলক্ষে দলী নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনসহ নগদ অর্থ ও মাস্ক বিতরণ।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মণিরামপুরের ১৪নং দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি হারুন অর রশিদ প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছেন জনসেবামুলক কাজ। ধারাবাহিক ভাবে তিনি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড, গ্রাম, পাড়া-মহল্লা
ও স্থানীয় হাট-বাজারে ভোটারসহ সর্বস্তরের জনগণের সাথে কুশল বিনিময়, সৌজন্য স্বাক্ষাত, উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় সভা ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সার্বিক খোজখবর নেয়াসহ অসহায় ও দূস্থ্য মানুষের দূঃখ-কষ্ট কিছুটা লাঘব করার মানুষিকতা নিয়ে নিজের সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা অব্যহত রেখে চলেছেন। সেবামুলক কাজের অংশ হিসেবে ইতোপূর্বে তিনি নিজ অর্থায়নে ভবদহের জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সহযোগিতাসহ করোনাকালিন কর্মহীনদের খাদ্য সামগ্রী, মাস্ক,
হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করা, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দরিদ্র ও অসহায়দের সাধ্যমত সহযোগিতা দিয়েছেন।
ধারাবাহিক সেবামূলক কাজের অংশ হিসেবে শনিবার ও রোববার ইউনিয়নের কোনাকোলা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউনসহ গণসংযোগ, সাধারণ মানুষের মাঝে করোনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য মাস্ক বিতরণ, বিভিন্ন কালি মন্দির পরিদর্শণ করেন। এ সময়ে তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে ২ হাজার ৫’শ মাস্ক বিতরণসহ ও বিভিন্ন কালি মন্দিরে নগন অর্থ প্রদান করেন।
এ সময়ে তার সাথে ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী, সিনিয়র সহসভাপতি প্রভাষক রেজাউল হোসেন, বিএনপিনেতা রবিউল হাজরা, আসাদুজ্জামান আসাদ, জয়নুল আবেদিন, রমজান আলী, মাসুদ রাহান, বদরুজ্জামান, ইউনিয়র যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি গফ্ফার মাহমুদসহ উপজেলা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি ও দলটির সহযোগী এবং অঙ্গ সংগঠনের উপজেলা ও স্থানীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা।
মোটরসাইকেল শোডাউন ও গণসংযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের প্রথম দিকে দেশব্যাপি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি এ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে চাই এবং জনগণের ভালবাসা নিয়ে ইনসাল্লাহ আমি জয়লাভ করবো। সে-লক্ষে আমার দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ কর্মী-সমর্থকদের সাথে নিয়ে লাগাতর ইউনিয়ন বাসির সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত, মতবিনিময় ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছি। আমি সর্বক্ষণিক ইউনিয়ন বাসির পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।